
নকল ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা মাউশির
- আপলোড সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৫:০৬:১০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৫:০৬:১০ অপরাহ্ন


এসএসসি পরীক্ষায় এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র তিন হাজার ৭৪৯টি
আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র তিন হাজার ৭৪৯টি। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে আবশ্যিকভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সারাদেশে এবার এই পরীক্ষায় বসবে ১৯ লাখ ২৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। দেশের বৃহত্তম এই পাবলিক পরীক্ষা নকলমুক্তভাবে শেষ করতে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর-মাউশি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ সংক্রান্ত এক চিঠি মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিল, গত বৃহস্পতিবার হতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৯ মার্চ একটি স্মারকপত্র পাঠানো হয়। স্মারকপত্রের মর্মানুযায়ী-পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অধিদফতরের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের ১৯ মার্চের স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানে বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন মাউশির অঞ্চলের পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের তিন হাজার ৭৪৯টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্নফাঁসের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান: আগামীকাল ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসংক্রান্ত যেকোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। গত রোববার এক বার্তায়, পরীক্ষাসমূহ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইন ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে সর্বসাধারণকে সচেতন হওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ অনুযায়ী প্রশ্ন সংক্রান্ত কোনো কাগজ অথবা পরীক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে মর্মে মিথ্যা ধারণাদায়ক কোনো প্রশ্ন সম্বলিত কোনো কাগজ যেকোনো উপায়ে ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণ শাস্তিমূলক অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন ৩ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করেন তাহলে তিনি অনধিক ৫ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা বা বিভ্রান্তি ছড়াবার উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, প্রচার বা সম্প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে তার অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবার বিধান রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ